mawts

বর্তমান যুগে ক্যারিয়ার গড়তে প্রয়োজন নিশ্চিত ও কর্মমুখী শিক্ষা এবং এর সাথে সঠিক দিক নির্দেশনা। এই অবস্থায় যতগুলো বিষয় সামনে আসে তার মধ্যে অন্যতম হলো অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং। 

অটোমোবাইল বলতে সাধারনত রাস্তায় চলাচলকারি যানবাহনকে যেমন: কার, জীপ, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক, ইত্যাদিকে বুঝায়,যার নিজস্ব শক্তি উ্ৎপাদন কেন্দ্র বা ইন্জিন আছে ।
অটোমোবাইল অর্থ স্বয়ংক্রিয় যান যা স্থলপথে যাএী এবং মালামাল বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। অটোমোবাইল এমন এক প্রকার যান যার মধ্যে শক্তি উৎপাদন এবং সে উৎপাদিত শক্তিবিভিন্ন যন্তাংশের মাধ্যমে চাকায় স্থানান্তর করে নিজে চলে এবং যাএী ও মালামাল বহন করে।

প্রতিনিয়ত আমাদের দেশে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন রাস্তায় আধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত নিত্যনতুন ডিজাইনের গাড়ি দেখা যায়। ইদানীং গাড়িগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এবং মাঝে মাঝে এসব গাড়িতে নানা সমস্যাও দেখা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির সূত্রানুসারে ঢাকা শহরে মোটরগাড়ির সংখ্যা সাত লাখ। আর সারা দেশে গাড়ি আছে ১৭ লাখেরও বেশি। এই লাখ লাখ গাড়ির তুলনায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা অনেক কম। এ রকম পরিস্থিতিতে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় এসে আপনিও নিজের ক্যারিয়ারকে উজ্জ্বল করতে পারেন।
অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার একটি গাড়ির পুরো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন। গাড়ির কোথায় কী সমস্যা, কোন সমস্যা কিভাবে কাটাতে হবে, কোথায় কোন যন্ত্রাংশ পাল্টাতে হবে বা মেরামত করতে হবে, কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ি সচল করা হবে, কোন পদ্ধতি ব্যবহার করলে সহজেই সফলতা মিলবে ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা সমস্যার সমাধান করেন। তাঁদের নির্দেশ অনুসরণ করে মেকানিকরা গাড়ি মেরামত করেন। অনেক সময় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারকেও ইঞ্জিন মেরামতে হাত লাগাতে হয়।

 

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা যে যে বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকেনঃ

১। অটোমোবাইল কন্সট্রাকশনের জন্য ধাতু অন্যান্য দ্রব্য নির্বাচন
২। অটোমোবাইলের বিভিন্ন গবেষণা, নিরীক্ষা প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ
৩। নতুন গাড়ির মডেলের জন্য বাজেট তৈরি
৪। মূল গাড়ি তৈরির আগে অনুরূপ মডেল তৈরি
৫। গাড়ি প্রোডাকশনের কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিত করা
৬। গাড়ি তৈরির প্রতিটি ধাপে সেফটি নিশ্চিত করা
৭। গাড়ি তৈরি সক্রান্ত ইকুইপমেন্ট নির্ধারণ প্রয়োজন অনুসারে সঠিক ব্যবহার
৮। প্রয়োজন অনুসারে গাড়ির ইম্প্রুভমেন্ট সক্রান্ত কাজ করা
৯। তথ্যাদি ডকুমেন্টেনশন

 

অটোমোবাইল টেকনোলজি কর্মক্ষেত্র সমূহঃ

  • আমাদের দেশে গাড়ি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের দেশে কার সার্ভিস সেন্টারের তুলনায় অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা বেশ কম। তাই সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক বেশি। বিষয়ে পড়ালেখা করে তাই সাধারণতই চাকরির জন্য বসে থাকতে হয় না।
  • যারা পরিবহন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা করেন, তাদেরও অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন হয়। ছাড়া বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের জন্য অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করে থাকেন। গাড়ি বিক্রির দোকানেও রয়েছে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ। আমদানি করা নতুন গাড়ি কিংবা রি-কন্ডিশন গাড়ির ত্রটি সারাতে কাজ করে থাকেন তারা। তাছাড়া বিষয়ে পড়ালেখা করে বিদেশে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগও আছে অনেক। বিদেশে গাড়ির কারখানা থেকে শুরু করে গাড়ি মেরামতের গ্যারেজে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
  • অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়াররা চাইলেই নিজেরাই একটি কার সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠান দিতে পারেন। জন্য প্রাথমিকভাবে ১৮ লাখ থেকে ৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হতে পারে। চাইলে পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে।
  • সরকারি চাকরির সুযোগ রয়েছে ইস্পাত প্রকৌশল অধিদপ্তর অন্যান্য মেকানিক্যাল ইকুইভ্যালেন্ট জব ফিল্ডে।

 

 

অটোমোবাইল উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সমূহ

দেশেঃ
১। ডুয়েট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মেকানিক্যাল, আইপিই মেকাট্রনিক্সে বিএসসির সুযোগ রয়েছে।

বিদেশেঃ
১। নানইয়াং পলিটেকনিক (সিঙ্গাপুর),
২। সরকারি অনুদানে চীনের চাঙ্গু ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটসহ বেশ কয়েকটি পলিটেকনিক, চীন, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়।

You are here  :