mawts

Computer Science & Technology

ডিপ্লোমা-ইন-কম্পিউটার টেকনোলজির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা!

তথ্য প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বকে গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত করেছে। আধুনিক এই যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমাদের জীবন যাপনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। এই পরিবর্তনশীল সময়ের সাথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রমে কম্পিউটার টেকনোলজির সংযোজনের বিষয়টি মট্স’র যাত্রায় এসেছে নতুনত্ব। প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে নিজেকে আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসাবে গড়ে তুলতে হলে কম্পিউটার টেকনোলজি নিয়ে পড়াশুনা করার বিকল্প কিছু হতে পারে না। আর এর জন্য মট্স হচ্ছে একটি নির্ভরযোগ্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মট্স কারিতাস বাংলাদেশের একটি ট্রাস্ট। ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে বোর্ড অব ট্রাস্ট এর মাধ্যমে মট্স পরিচালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য সার্বিক গুরুত্ব প্রদান করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হলো কম্পিউটার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামুলক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি খাতে নিয়োজিত মানব সম্পদের কম্পিউটার শিক্ষা অপরিহার্য। দেশের প্রযুক্তিতে দক্ষ মানব সম্পদের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
কম্পিউটার টেকনোলজিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে মেডিকেল বা অন্যান্য টেকনোলজির মতো খুব বেশি অর্থ খরচ করতে হয় না। দরিদ্র ঘরের শিক্ষার্থীরাও এ টেকনোলজিতে অধ্যায়নের সুযোগ পায়। আবার নারী শিক্ষার্থীদের জন্য কম্পিউটার টেকনোলজি প্রথম পছন্দের বিষয়। সংসারের কাজের পাশাপাশি নারীরা এ টেকনোলজিতে অধ্যায়ন করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠছে। পুরো একটি পরিবারকে সাহায্য করতে পারছে। অনেকে চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করছে। বর্তমানে অনলাইন ব্যবসার উদ্যোক্তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নারী। নিজেদের মেধা ও আকাংখা তুলে ধরার জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিশেষ অবদান রাখছে।
কম্পিউটার টেকনোলজিতে অধ্যায়ন করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন পেশা বেছে নিতে পারবে। যেমন- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেটর, ডেটাবেইজ এডমিনিস্ট্রেটর, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েভ ডেভলপার, আইটি এক্সপার্ট অথবা ফ্রিল্যান্সিং এর মতো পেশা যা ঘরে বসে বর্হিবিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সহিত কাজ করার সুযোগ পাবে।
কর্মক্ষেত্রের কথা বলতে গেলে অপূর্ণতা থেকে যাবে। এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে কম্পিউটার জানা লোকের কর্মের সুযোগ নেই। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, গার্মেন্টস সেক্টর, মোবাইল কোম্পানি, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া, কল সেন্টার, ফার্মাসিউটিক্যালস, বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, ছোট-বড় সকল শিল্প কারখানা ছাড়াও বিদেশী বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান যেমন- গুগোল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক, টুইটার, ইন্টেল ইত্যাদিতে কর্মের অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে।
এছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে হাইটেক পার্ক গড়ে উঠেছে। প্রযুক্তিনির্ভর এসব হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে সুযোগ সৃষ্টি করবে। হাইটেক পার্কগুলো দেশের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্বমানের কোম্পানীতে কাজ করার মত উপযোগী করে তুলবে। এসব কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়ে এ দেশের তরুণরা দ্রুত আধুনিক নানা প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হবে, নানা কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে নতুন কিছু শিখতে পারবে, রিসার্চ করতে পারবে। আবার কেউ কেউ নিজের কোম্পানি খোলার সুযোগ পাবে।
সরকার দেশে প্রতিটি সরকারি কলেজ ও পর্যায়ক্রমে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্তরে আইসিটি শিক্ষা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে আগামী এক দশকে শুধুমাত্র শিক্ষা খাতেই ১০ লক্ষাধিক কম্পিউটার শিক্ষিত দক্ষ জনবল দরকার হবে। পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে দরকার আধুনিক তথ্য প্রযুক্তিতে শিক্ষিত জনবল যা পূরণ করতে পারে কেবলমাত্র কম্পিউটার শিক্ষা। এই কম্পিউটার ডিপ্লোমা ডিগ্রী হবে অবারিত কম্পিউটার সম্পর্কিত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের প্রথম চাবিকাঠি।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এবং দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরের জন্য আইটি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আর তাই কম্পিউটার টেকনোলজিই বেকার সমস্যা সমাধানে খুলতে পারে এক ভবিষ্যত সম্ভাবনার দুয়ার।

Ex-Students Registration

Job Placement Cell

New Products


You are here  :